শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:২৬ অপরাহ্ন
রুম্মান হাওলাদার মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি।।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সাফলেজা ইউনিয়নে তাফালবাড়িয়া হাসানিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় আয়া পদে চাকরির জন্য দেওয়া ঘুষের টাকা আদায় করতে মাদ্রাসার জমিতে ঘর উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে।
তাফালবাড়িয়া গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের পুত্র মোঃ সোবাহান মাদ্রাসার জমিতে জোর পূর্বক ঘর উত্তোলন করেন। গত ২ অক্টোবর শুক্রবার সকালে মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী মোস্তফা, শিক্ষক জাকারিয়া, নৈশ প্রহরী রুহুল আমিন এর যোগসাজশে ও সহযোগিতায় মাদ্রাসার জমিতে ঘর উত্তোলন করতে সক্ষম হন তিনি।
সরেজমিনে জানা যায়, তাফালবাড়িয়া গ্রামের মৃত কাঞ্চন আলী ফরাজীর ৫ পুত্র মৃত. মাওঃ মোঃ হাবিবুর রহমান,মাওঃ খলিলুর রহমান, মাওঃ মোস্তফা,মাওঃ আবু জাফর (সুফি সাহেব), মাওঃ জাকারিয়া গংদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এদের মধ্যে এক পক্ষে রয়েছেন-মাওঃ মোস্তফা, জাকারিয়া ও হাবিবুর রহমানের পুত্রদ্বয় রুহুল আমিন ও সোবাহান। অন্য পক্ষে রয়েছেন মাওঃ খলিলুর রহমান ও মাওঃ আবু জাফর সুফি। ভাইদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে প্রতিষ্ঠানটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।
২ বছর পূর্বে হাবিবুর রহমানের পুত্র সোবাহান তার স্ত্রীকে আয়া পদে চাকরি দেওয়ার জন্য মাওঃ মোস্তফা ও জাকারিয়াকে এক লক্ষ টাকা ঘুষ প্রদান করেন। চাকুরী দিতে বিলম্ব হওয়ায় অধৈর্য হয় টাকা ফেরত চায় প্রতিবন্ধী দিনমজুর সোবাহান।
ঘুষের টাকা গ্রহনকারী মাওঃ মোস্তফা ও জাকারিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে থাকা আপন ভাই মাওঃ খলিলুর রহমানের কাছে চাকরি দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু মাওঃ খলিলুর রহমান বিধি মোতাবেক সংকট সংক্রান্ত জটিলতায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিতে পারছেন না। এতে মোস্তফা ও জাকারিয়া অধৈর্য হয়ে ভুক্তভোগী সোবহানকে টাকার পরিবর্তে মাদ্রাসার জমিতে ঘর তুলে দেয়।
বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মাদ্রাসাটির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য এই অপরাধের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য মানববন্ধনের উদ্যোগ নিয়েছে এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা খলিলুর রহমান জানান, “উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।”
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুজ্জামান মিলু জানান,”শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জমিতে জোরপূর্বক ঘর উত্তোলনের বিষয়টি অবগত আছি।সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জমি দখল মুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের সহযোগিতা করা হবে। মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”